ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ইতিহাস, দর্শনীয় স্থান ও তথ্য সমূহ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি জেলা। এটি দেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত, এবং উত্তরে কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ, দক্ষিণে কুমিল্লা এবং পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী। জেলাটির আয়তন প্রায় ১৯২৭.১১ বর্গ কিলোমিটার (৭৪৪.০৬ বর্গ মাইল), এবং ২০১১ সালের হিসাবে জনসংখ্যা প্রায় ২৮,৪০,৪৯৮ জন। জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি প্রধান কৃষিপ্রধান জেলা, এবং জেলায় উৎপাদিত প্রধান ফসল হল ধান, পাট, গম এবং সবজি। জেলাটিতে টেক্সটাইল, চিনিকল এবং রাইস মিল সহ বেশ কয়েকটি শিল্পের আবাসস্থল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান, এবং জেলার প্রধান পর্যটন আকর্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দুর্গ, হরিপুর প্রাসাদ এবং আশুগঞ্জ ব্যারেজ।

Brahmanbaria-District

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ইতিহাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাংলাদেশের পূর্ব-মধ্যাঞ্চলের একটি জেলা। এটি ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের আক্ষরিক অর্থ হল ব্রাহ্মণদের বসবাসের স্থান।

এলাকাটি প্রাচীন বাংলার সমতট অঞ্চলের অংশ ছিল। মধ্যযুগে এটি সরাইল পরগণার অন্তর্ভুক্ত ছিল। পাঠান সুলতান শেরশাহ রাজস্ব আদায় ও শাসনের উদ্দেশ্যে প্রথম পরগণা তৈরি করেন। সুলতানী আমলে সরাইল পরগণা গঠিত হয়। সিরিয়াল পরগণা কখনও কখনও রাজনৈতিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ।

মুঘল আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উন্নতমানের কাপড়ের মসলিন উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ছিল। ১৮৬০ সালে ব্রিটিশ শাসকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে কুমিল্লা জেলার তিনটি মহকুমায় পরিণত করে। ১৮৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৪৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হয়। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে স্বাধীনতার উত্তর দাক্ষিণাত্যের সময় জেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবাব সৈয়দ শামসুল হুদা, যিনি ১৯২১ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের সভাপতি হন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন ফ্রন্ট র্যাঙ্কিং নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রসুলের মতো মহান জাতীয় নেতা তৈরি করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার থানা/উপজেলা সমূহ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৯টি উপজেলায় বিভক্ত, যেমন:
  1. ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা,
  2. কসবা উপজেলা,
  3. আখাউড়া উপজেলা,
  4. আশুগঞ্জ উপজেলা,
  5. বাঞ্ছারামপুর উপজেলা,
  6. বিজয়নগর উপজেলা,
  7. নাসিরনগর উপজেলা,
  8. নবীনগর উপজেলা,
  9. সরাইল উপজেলা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর। এটি তিতাস নদীর তীরে অবস্থিত। উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় চার লাখ। এ উপজেলার মানুষের প্রধান পেশা কৃষি, মাছ ধরা ও ব্যবসা।
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান শহর।
  • কসবা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
  • আখাউড়া উপজেলাটি ভারত সীমান্তে অবস্থিত।
  • আশুগঞ্জ উপজেলা মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত।
  • বাঞ্ছারামপুর উপজেলা জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
  • বিজয়নগর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
  • নাসিরাবাদ উপজেলা জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
  • নবীনগর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
  • সরাইল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এই অঞ্চলের একটি প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র। এটি টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সহ অনেকগুলি শিল্পের আবাসস্থল। চাল, গম এবং শাকসবজির উপর ফোকাস সহ জেলাটি একটি প্রধান কৃষি উৎপাদনকারীও।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

এখানে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে যা হলো:

আরিফাইল মসজিদ

আরিফাইল মসজিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় অবস্থিত ১৭ শতকের একটি মসজিদ। এটি মুঘল স্থাপত্যের একটি চমৎকার নিদর্শন এবং এটি জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। মসজিদটি ইট ও চুন মর্টার দিয়ে তৈরি এবং একটি বড় কেন্দ্রীয় গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরভাগ জটিল পুষ্পশোভিত এবং জ্যামিতিক নকশায় সজ্জিত।

হাতিরপুল ব্রিজ

হাতিরপুল ব্রিজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন সেতু। এটি ১৭ শতকে মুঘল আমলে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়। সেতুটি ইট-পাথর দিয়ে তৈরি এবং একটি একক খিলান রয়েছে। ধারণা করা হয়, হাতিদের বিশ্রামের জায়গা হিসেবে সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল।

গোকর্ণ নবাব বাড়ি কমপ্লেক্স

গোকর্ণ নবাব বাড়ি কমপ্লেক্স ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গোকর্ণ উপজেলায় অবস্থিত একটি ১৭শ শতাব্দীর প্রাসাদ কমপ্লেক্স। এটি ঢাকার নবাবদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং এটি জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। কমপ্লেক্সটিতে একটি মসজিদ, একটি সমাধি এবং একটি প্রাসাদ সহ বেশ কয়েকটি ভবন রয়েছে। ভবনগুলি ইট এবং চুন মর্টার দিয়ে তৈরি এবং জটিল পুষ্পশোভিত এবং জ্যামিতিক নিদর্শন দ্বারা সজ্জিত করা হয়।

ধরোন্টি হাওর

ধোরন্তি হাওর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত একটি বৃহৎ স্বাদু পানির হ্রদ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং প্রচুর বন্যপ্রাণীর জন্য এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। হ্রদটি বিভিন্ন ধরণের পাখি, মাছ এবং অন্যান্য প্রাণীর আবাসস্থল। এটি বোটিং এবং মাছ ধরার জন্য একটি জনপ্রিয় স্পট।

অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থানগুলির মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দুর্গ, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন এবং আখাউড়া স্থলবন্দর অন্তর্ভুক্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অনেক পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে এগুলি কয়েকটি মাত্র। জেলার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সংস্কৃতি রয়েছে এবং এখানে অন্বেষণ করার অনেক জায়গা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পার্ক সমূহ

এখানে কয়েকটি পার্ক সম্পর্কে তুলে ধরা হলো:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উদ্যান

এটি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে অবস্থিত একটি পাবলিক পার্ক। এটি তিতাস নদীর তীরে অবস্থিত এবং এটি বিনোদন এবং বিশ্রামের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। পার্কটিতে খেলার মাঠ, জগিং ট্র্যাক, পিকনিক এলাকা এবং ফুলের বাগান সহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শহীদ মিনার এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ সহ বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক নিদর্শনেরও আবাসস্থল।

পার্কটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি মূলত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা পার্ক হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৯৮৪ সালে এর নামকরণ করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উদ্যান। কয়েক বছর ধরে পার্কটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে এবং এখন এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উদ্যানে আপনি যা করতে পারেন তার কয়েকটি এখানে রয়েছে:
  • প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করুন: উদ্যানটি তিতাস নদীর তীরে অবস্থিত এবং নদী এবং আশেপাশের গ্রামাঞ্চলের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখায়।
  • হাঁটুন বা জগ করুন: পার্কে একটি জগিং ট্র্যাক রয়েছে যা অবসরে হাঁটার জন্য বা দ্রুত দৌড়ানোর জন্য উপযুক্ত।
  • পিকনিক করুন: পার্কটিতে টেবিল এবং চেয়ার সহ একটি পিকনিক এলাকা রয়েছে যেখানে আপনি আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে একটি খাবার উপভোগ করতে পারেন।
  • ফুলের বাগান পরিদর্শন করুন: পার্কটিতে একটি সুন্দর ফুলের বাগান রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরণের ফুলের প্রশংসা করা যায়।
  • ইতিহাস সম্পর্কে জানুন: পার্কটি শহীদ মিনার এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ সহ বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক নিদর্শনের আবাসস্থল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উদ্যান হল বিশ্রাম নেওয়ার এবং বাইরে উপভোগ করার জন্য একটি চমৎকার স্থান। এটি পরিবার, দম্পতি এবং বন্ধুদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। আপনি যদি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একটি দিন কাটানোর জায়গা খুঁজছেন, তাহলে পার্কটি দেখতে ভুলবেন না।

ফারুকী পার্ক

ফারুকী পার্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে অবস্থিত একটি পাবলিক পার্ক। এটি বিনোদন এবং বিশ্রামের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। পার্কটিতে একটি খেলার মাঠ, একটি সুইমিং পুল এবং একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন সহ বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। এটি একটি মসজিদ এবং একটি সমাধি সহ বহু ঐতিহাসিক নিদর্শনের আবাসস্থল।

যে কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিখ্যাত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেসব জিনিসের জন্য বিখ্যাত সে সম্পর্কে এখানে কিছু অতিরিক্ত বিবরণ দেওয়া হল:
  • মসলিন কাপড়: উন্নতমানের মসলিন কাপড়ের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক সময় ‘মসলিনের শহর’ হিসেবে পরিচিত ছিল। মসলিন একটি খুব সূক্ষ্ম, হালকা ওজনের ফ্যাব্রিক যা তুলা থেকে তৈরি করা হয়। এটি একসময় বিশ্বের সেরা ফ্যাব্রিক হিসাবে বিবেচিত হত এবং রয়্যালটি এবং ধনীদের দ্বারা অত্যন্ত মূল্যবান ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মসলিন তার কোমলতা এবং পরিধানকারীকে ঠান্ডা রাখার ক্ষমতার জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত ছিল। অন্যান্য দেশের প্রতিযোগিতার কারণে ১৯ শতকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসলিনের উৎপাদন কমে যায়, কিন্তু জেলাটি এখনও ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড়ের জন্য পরিচিত।
  • মিষ্টি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া চন্দ্রমুখীর মতো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির জন্যও বিখ্যাত। চন্দ্রমুখী দুধ এবং চিনি দিয়ে তৈরি একটি মিষ্টি। এটি একটি অর্ধচন্দ্রের মতো আকৃতির এবং একটি সমৃদ্ধ, ক্রিমযুক্ত গন্ধ রয়েছে। চন্দ্রমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি জনপ্রিয় মিষ্টি এবং প্রায়শই এটি একটি মিষ্টান্ন বা জলখাবার হিসাবে পরিবেশন করা হয়।
  • ঐতিহাসিক স্থান: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরিফাইল মসজিদ ও হাতিরপুল ব্রিজ সহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। আরিফাইল মসজিদটি ১৭ শতকের একটি মসজিদ যা মুঘল স্থাপত্যের একটি উদাহরণ বলে মনে করা হয়। মসজিদটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আরিফাইল গ্রামে অবস্থিত। হাতিরপুল সেতু ১৭ শতকের একটি সেতু যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বরইউড়া উপজেলায় অবস্থিত। সেতুটি একটি খালের উপর নির্মিত এবং এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
  • প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস নদী এবং কাপ্তাই হ্রদ সহ কিছু সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের আবাসস্থল। তিতাস নদী বাংলাদেশের একটি প্রধান নদী যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। নদীটি মাছ ধরা এবং নৌকা চালানোর জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। কাপ্তাই হ্রদ হল একটি জলাধার যা ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল। হ্রদটি সাঁতার কাটা, মাছ ধরা এবং বোটিং করার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
  • মানুষ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ আতিথেয়তা ও উষ্ণতার জন্য পরিচিত। তারা তাদের ঐতিহ্যের জন্য গর্বিত এবং সবসময় দর্শকদের সাহায্য করতে ইচ্ছুক। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি চমৎকার জায়গা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি সহ একটি প্রাণবন্ত ও বৈচিত্র্যময় জেলা। এটি এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এর ঐতিহাসিক স্থান এবং এর বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষদের জন্য দেখার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন