নোয়াখালী জেলার মোট ৯ টি থানা/উপজেলা সমূহ

নোয়াখালী জেলাটি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি জেলা যার উত্তরে কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলা, দক্ষিণে মেঘনা মোহনা ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা এবং পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর এবং ভোলা জেলা দ্বারা বেষ্টিত। জেলার মোট আয়তন প্রায় ৩,৬৮৬ বর্গকিলোমিটার, এবং জনসংখ্যা প্রায় 2,640,227 জন (2011 সালের আদমশুমারি) সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা মুসলমান এছাড়াও সংখ্যালঘু হিন্দুরা রয়েছে। এই জেলার প্রধান ভাষা হল বাংলা ও চাকমা এবং নোয়াখালী জেলার প্রধান শহর হচ্ছে মাইজদী তবে,  এই জেলার নাম মাইজদীর নামে নয় নোয়াখালীর নামানুসারে রাখা হয়। যার প্রধান সদর উপজেলাতেই অবস্থিত রয়েছে। নোয়াখালী-ই বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যার প্রধান শহরের নামে নামকরণ করা হয়নি।

এই জেলার অর্থনীতি কৃষি, মাছ ধরা ও বনায়নের উপর নির্ভরশীল। যে জেলায় উৎপাদিত প্রধান ফসল ধান, পাট ও আখ ইত্যাদি ছাড়াও জেলাটিতে টেক্সটাইল, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং জাহাজ নির্মাণ সহ বেশ অনেকগুলো শিল্পের আবাসস্থল। এতে জেলায় বজরা শাহী মসজিদ, রাজগঞ্জ মিয়া বাড়ি এবং রমজান মিয়া মসজিদ সহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থান রয়েছে। এছাড়াও এই জেলায় নিঝুম দ্বীপ (দ্বীপ), যা একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।

upazila-thana-in-noakhali-district

নোয়াখালী জেলার মোট ৯ টি থানা/উপজেলা সমূহ হলো:

  1. নোয়াখালী সদর থানা,
  2. হাতিয়া থানা,
  3. সুবর্ণচর থানা,
  4. কবিরহাট থানা,
  5. কোম্পানীগঞ্জ থানা,
  6. চাটখিল থানা,
  7. বেগমগঞ্জ থানা,
  8. সেনবাগ থানা,
  9. সোনাইমুড়ী থানা ইত্যাদি।

নোয়াখালী জেলার প্রতিটি উপজেলার সংক্ষিপ্ত

আরও পড়ুন নোয়াখালী জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

নোয়াখালী সদর থানা

সদর থানা হলো জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র যা জেলার সবচেয়ে বড় এবং জনবহুল উপজেলা। নোয়াখালী সদর থানা তার ঐতিহাসিক স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এর মূল আকর্ষণ হচ্ছে নোয়াখালী সরকারি কলেজ, নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ, সোনাপুর ডিগ্রি কলেজ, নোয়াখালী জেলা জাদুঘর, নোয়াখালী শহরের ঐতিহাসিক মসজিদ ইত্যাদি।

হাতিয়া থানা

নোয়াখালীর একটি দ্বীপ উপজেলা এটি যা বঙ্গোপসাগরের পাশে অবস্থিত এবং বাংলাদেশের অন্যতম বড় দ্বীপ ও এটি। হাতিয়া উপজেলাটি মধু, কাঁকড়া এবং বিভিন্ন সমুদ্রজীবের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এর মূল আকর্ষণ হচ্ছে হাতিয়া দ্বীপের সুন্দর সমুদ্র সৈকত, মধু চাষ, কাঁকড়া চাষ এছাড়াও রয়েছে জেলেদের জীবনযাত্রা।

সুবর্ণচর থানা

সুবর্ণচর থানাও একটি দ্বীপ উপজেলা এটি নোয়াখালীর দক্ষিণে অবস্থিত রয়েছে। সুবর্ণচর তার সুন্দর সমুদ্র সৈকত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বেশ পরিচিত। এর মূল আকর্ষণ হলো সুবর্ণচর দ্বীপের সুন্দর সমুদ্র সৈকত, দুর্গম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ইত্যাদি।

কবিরহাট থানা

কবিরহাট থানা টি নোয়াখালীর উত্তরে অবস্থিত রয়েছে যা কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি এবং ঐতিহাসিক স্থাপনার জন্য পরিচিত। এই উপজেলার মূল আকর্ষণ হলো কৃষি জমি, ঐতিহাসিক মসজিদ, পুরাতন বাড়ি ইত্যাদি।

কোম্পানীগঞ্জ থানা

কোম্পানীগঞ্জ থানা নোয়াখালীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র যেটি নদীর তীরে অবস্থিত এবং নৌপথে যোগাযোগের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রস্থল। মূল আকর্ষণ এর মধ্যে রয়েছে নদীর তীর, বাণিজ্যিক কেন্দ্র, নৌকাঘাট ইত্যাদি।

চাটখিল থানা

চাটখিল থানা নোয়াখালী জেলার প্রাচীন উপজেলাও বটে। এটি তার ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং ধর্মীয় স্থানের জন্য বেশ পরিচিত। এই উপজেলার মূল আকর্ষণ হলো ঐতিহাসিক মন্দির, মসজিদ ও পুরাতন বাড়ি ইত্যাদি।

বেগমগঞ্জ থানা

বেগমগঞ্জ থানা নোয়াখালীর একটি শিল্পাঞ্চল যেখানে বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় শিল্প কারখানা রয়েছে। এই উপজেলার মূল আকর্ষণ শিল্প কারখানা এবং নদীর তীর।

সেনবাগ থানা

সেনবাগ থানা নোয়াখালীর একটি কৃষিপ্রধান উপজেলা যেখানে ধান, পাট, আখ জাতীয় নানা ধরণের ফসলের চাষ হয়ে থাকে। যার মূল আকর্ষণ এর মধ্যে রয়েছে কৃষি জমি ও গ্রামীণ জীবন।

সোনাইমুড়ী থানা

সোনাইমুড়ী থানা নোয়াখালী জেলার একটি শিক্ষা কেন্দ্র বলা যায়। এই উপজেলার মূল আকর্ষণ এর মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এছাড়াও রয়েছে গ্রামীণ জীবন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন