শরীয়তপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত একটি নদীবেষ্টিত ও কৃষিভিত্তিক জেলা, যা তার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষত মাধ্যমিকের পর উচ্চ শিক্ষায় প্রবেশের ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো শরীয়তপুরের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধান বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলো বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য শাখায় নানা ধরনের প্রোগ্রাম চালিয়ে আসছে, যা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করছে।

শরীয়তপুর জেলার র্যাঙ্কিং কলেজ তালিকা
- শরীয়তপুর সরকারি কলেজ,
- শহীদ এ. রব সেরনিয়াবাত সরকার কলেজ,
- পালং মহিলা কলেজ,
- ডামুড্যা কলেজ,
- ভেদরগঞ্জ সরকারি কলেজ,
- নড়িয়া কলেজ।
কলেজ সমূহের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
শরীয়তপুর সরকারি কলেজ
জেলার সবচেয়ে পুরনো ও খ্যাতিমান কলেজ। এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য বিষয়ে অনার্স, পাস এবং মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালায়। এটি অভিজ্ঞ শিক্ষক, বিস্তৃত ক্যাম্পাস এবং ভাল ফলাফলের জন্য সমাদৃত।
শহীদ এ. রব সেরনিয়াবাত সরকার কলেজ
একটি সরকারি কলেজ যা উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষা প্রদান করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই প্রতিষ্ঠানটি মানসম্মত পাঠদানের মাধ্যমে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
পালং মহিলা কলেজ
নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা এই কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এটি একটি নিরাপদ ও উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশে মেয়েদের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে।
ডামুড্যা কলেজ
ডামুড্যা উপজেলায় অবস্থিত এই কলেজটি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি (পাস) কোর্স পরিচালনা করে। কলেজটি তার সার্বিক শিক্ষার মান ও সমাজে অবদানের জন্য স্বীকৃত।
ভেদরগঞ্জ সরকারি কলেজ
ভেদরগঞ্জ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চ শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এটি উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে।
নড়িয়া কলেজ
নড়িয়া উপজেলায় অবস্থিত এই কলেজটি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। এটি পাস কোর্স সহ সাধারণ বিভাগে শিক্ষা প্রদান করে।
শরীয়তপুর জেলার শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রযাত্রার মূল চালিকাশক্তি হিসেবে এসব কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এসব কলেজ শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ভিত্তি গঠনে এবং তাদের ভবিষ্যতের পথ তৈরি করতে সহায়তা করে। সঠিক কলেজ বাছাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রোগ্রাম, খ্যাতি এবং পরিবেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেওয়া প্রয়োজন।