বাগেরহাট জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর জেলা, যা ষাট গম্বুজ মসজিদ এবং সুন্দরবনের জন্য বিখ্যাত। শিক্ষাক্ষেত্রে বাগেরহাটে রয়েছে বেশ কিছু স্বনামধন্য কলেজ, যেগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে আসছে।

বাগেরহাট জেলার র্যাঙ্কিং-এ শীর্ষ কলেজ তালিকা
- বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ,
- বাগেরহাট সরকারি মহিলা কলেজ,
- মংলা পোর্ট কলেজ,
- মোরেলগঞ্জ এএম কলেজ,
- ফকিরহাট কলেজ,
- খান জাহান আলী কলেজ।
বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ
জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ সরকারি কলেজ, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এই কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। বিশাল ক্যাম্পাস ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ।
বাগেরহাট সরকারি মহিলা কলেজ
মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত এই কলেজ ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। নারী শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
মংলা পোর্ট কলেজ
মংলা উপজেলার প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে বিশেষ খ্যাতি আছে।
মোরেলগঞ্জ এএম কলেজ
মোরেলগঞ্জ উপজেলার অন্যতম প্রধান কলেজ, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ের প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্র।
ফকিরহাট কলেজ
ফকিরহাট উপজেলার স্বনামধন্য কলেজ, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষা প্রদান করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এই কলেজটি এলাকার শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
খান জাহান আলী কলেজ
একটি স্বনামধন্য বেসরকারি কলেজ, যা মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য পরিচিত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এই কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের প্রোগ্রাম পরিচালনা করে।
বাগেরহাট জেলার কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের কলেজই এখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ভর্তির আগে প্রতিটি কলেজের প্রোগ্রাম, সুযোগ-সুবিধা ও অবস্থান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি।