ভোলা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বৃহৎ দ্বীপজেলা যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিখ্যাত। জেলাটিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কলেজ রয়েছে, যেগুলো উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে আসছে।
ভোলা জেলার র্যাঙ্কিং-এ থাকা কলেজ তালিকা
- ভোলা সরকারি কলেজ,
- ভোলা সরকারি মহিলা কলেজ,
- ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ,
- চরফ্যাসন সরকারি কলেজ,
- লালমোহন সরকারি কলেজ,
- বোরহানউদ্দিন সরকারি কলেজ।
ভোলা সরকারি কলেজ
১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি ভোলা জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামসহ উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। ১৫ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত ক্যাম্পাসে আধুনিক ল্যাব ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে।
ভোলা সরকারি মহিলা কলেজ
১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি ভোলার মেয়েদের উচ্চশিক্ষার প্রধান কেন্দ্র। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে মেয়েদের শিক্ষা প্রদান এই কলেজের বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ
ভোলা সদরের একটি উল্লেখযোগ্য বেসরকারি মহিলা কলেজ। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে পাঠদান করে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী রয়েছে।
চরফ্যাসন সরকারি কলেজ
চরফ্যাসন উপজেলার প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে পাঠদান করে। উপকূলীয় অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠান।
লালমোহন সরকারি কলেজ
লালমোহন উপজেলার এই কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক প্রোগ্রাম প্রদান করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমেও সক্রিয় এই প্রতিষ্ঠান।
বোরহানউদ্দিন সরকারি কলেজ
বোরহানউদ্দিন উপজেলার প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে পাঠদান করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এর শিক্ষার মান উল্লেখযোগ্য।
ভোলা জেলার কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়ে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রতিটি কলেজেরই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও সাফল্য রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের আগ্রহ, অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিবেচনা করে উপযুক্ত কলেজ নির্বাচন করা।
