চাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিত, যেখানে নদী বেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এই কলেজগুলো জেলার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নিচে চাঁদপুরের সেরা কলেজগুলোর তালিকা ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো।

চাঁদপুর জেলার র্যাঙ্কিং-এ শীর্ষ কলেজ তালিকা
- চাঁদপুর সরকারি কলেজ,
- চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ,
- হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ,
- ফরিদগঞ্জ কলেজ,
- কচুয়া ডিগ্রি কলেজ,
- মতলব উত্তর কলেজ।
চাঁদপুর সরকারি কলেজ
১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করে। বিশাল ক্যাম্পাস, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী এই কলেজের বিশেষত্ব।
চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ
মহিলা শিক্ষার প্রসারে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজটি। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কলেজটি বিশেষভাবে পরিচিত।
হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ
হাজীগঞ্জ উপজেলার এই কলেজটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও মানসম্মত শিক্ষাদানের জন্য স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
ফরিদগঞ্জ কলেজ
ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৮২ সালে যাত্রা শুরু করে। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) কোর্সে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ চালু রয়েছে। উপজেলার একমাত্র ডিগ্রি কলেজ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
কচুয়া ডিগ্রি কলেজ
কচুয়া উপজেলার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চাহিদা পূরণে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য সহজলভ্য ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাই এই কলেজের মূল লক্ষ্য।
মতলব উত্তর কলেজ
মতলব উত্তর উপজেলার একমাত্র ডিগ্রি কলেজ হিসেবে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে পাঠদান করা হয়। উপজেলার উচ্চশিক্ষার প্রসারে এই কলেজটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
চাঁদপুর জেলার কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়ে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই নিজ নিজ অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান ও চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো একটি কলেজ বেছে নিতে পারেন।