কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর জেলা, যা শুধু পর্যটনের জন্য নয়, শিক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এই কলেজগুলো জেলার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নিচে কক্সবাজারের সেরা কলেজগুলোর তালিকা ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো।

কক্সবাজার জেলার র্যাঙ্কিং-এ শীর্ষ কলেজ তালিকা
- কক্সবাজার সরকারি কলেজ,
- কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ,
- রামু ডিগ্রি কলেজ,
- উখিয়া কলেজ,
- চকরিয়া কলেজ,
- টেকনাফ ডিগ্রি কলেজ।
কক্সবাজার সরকারি কলেজ
১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করে। বিশাল ক্যাম্পাস, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী এই কলেজের বিশেষত্ব।
কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ
মহিলা শিক্ষার প্রসারে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজটি। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কলেজটি বিশেষভাবে পরিচিত।
রামু ডিগ্রি কলেজ
রামু উপজেলার প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৭০ সালে যাত্রা শুরু করে। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) কোর্সে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ চালু রয়েছে। উপজেলার একমাত্র ডিগ্রি কলেজ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
উখিয়া কলেজ
উখিয়া উপজেলার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চাহিদা পূরণে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য সহজলভ্য ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাই এই কলেজের মূল লক্ষ্য।
চকরিয়া কলেজ
চকরিয়া উপজেলার কেন্দ্রস্থলে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজটি। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে পাঠদান করা হয়। উপজেলার উচ্চশিক্ষার প্রসারে এই কলেজটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
টেকনাফ ডিগ্রি কলেজ
টেকনাফ উপজেলার একমাত্র ডিগ্রি কলেজ হিসেবে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চাহিদা পূরণে এই কলেজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কক্সবাজার জেলার কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়ে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই নিজ নিজ অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান ও চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো একটি কলেজ বেছে নিতে পারেন।