ফেনী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি শিক্ষানুরাগী জেলা হিসেবে পরিচিত। এই জেলায় রয়েছে বেশ কিছু স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এই কলেজগুলো উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নিচে ফেনীর সেরা কলেজগুলোর তালিকা ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো।

ফেনী জেলার র্যাঙ্কিং-এ শীর্ষ কলেজ তালিকা
- ফেনী সরকারি কলেজ,
- ফেনী সরকারি মহিলা কলেজ,
- দাগনভূঁইয়া সরকারি কলেজ,
- সোনাগাজী কলেজ,
- পরশুরাম কলেজ,
- ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ।
ফেনী সরকারি কলেজ
১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করে। বিশাল ক্যাম্পাস, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী এই কলেজের বিশেষত্ব।
ফেনী সরকারি মহিলা কলেজ
মহিলা শিক্ষার প্রসারে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজটি। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কলেজটি বিশেষভাবে পরিচিত।
দাগনভূঁইয়া সরকারি কলেজ
দাগনভূঁইয়া উপজেলার প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৬৫ সালে যাত্রা শুরু করে। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) কোর্সে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ চালু রয়েছে। উপজেলার একমাত্র ডিগ্রি কলেজ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সোনাগাজী কলেজ
সোনাগাজী উপজেলার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চাহিদা পূরণে ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য সহজলভ্য ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাই এই কলেজের মূল লক্ষ্য।
পরশুরাম কলেজ
পরশুরাম উপজেলার কেন্দ্রস্থলে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজটি। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে পাঠদান করা হয়। উপজেলার উচ্চশিক্ষার প্রসারে এই কলেজটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ
একটি আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগে পাঠদান করা হয়। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুশৃঙ্খল পরিবেশ ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বিশেষভাবে পরিচিত।
ফেনী জেলার কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়ে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই নিজ নিজ অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান ও চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো একটি কলেজ বেছে নিতে পারেন।