নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিত। উপকূলীয় এই জেলাটি তার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিখ্যাত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোর মাধ্যমে এখানে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা হয়। নোয়াখালীর কলেজগুলো দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য উৎকৃষ্ট শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে আসছে।

নোয়াখালী জেলার র্যাঙ্কিং-এ শীর্ষ কলেজ তালিকা
- নোয়াখালী সরকারি কলেজ,
- নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ,
- চৌমুহনী সরকারি কলেজ,
- সোনাইমুড়ি কলেজ,
- বেগমগঞ্জ সরকারি কলেজ,
- কবিরহাট কলেজ।
নোয়াখালী সরকারি কলেজ
জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ কলেজ, ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এই কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। বিশাল ক্যাম্পাস ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ।
নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ
মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত এই কলেজ ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। নারী শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
চৌমুহনী সরকারি কলেজ
১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চৌমুহনী উপজেলার প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে বিশেষ খ্যাতি আছে।
সোনাইমুড়ি কলেজ
সোনাইমুড়ি উপজেলার অন্যতম প্রধান কলেজ, ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ের প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্র।
বেগমগঞ্জ সরকারি কলেজ
বেগমগঞ্জ উপজেলার স্বনামধন্য কলেজ, ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষা প্রদান করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এই কলেজটি এলাকার শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কবিরহাট কলেজ
কবিরহাট উপজেলার প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।
নোয়াখালী জেলার কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সরকারি কলেজগুলো তাদের একাডেমিক সাফল্য, অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী এবং উন্নত অবকাঠামোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করছে। ভর্তির আগে প্রতিটি কলেজের প্রোগ্রাম, সুযোগ-সুবিধা ও অবস্থান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি।